Table of Contents
Toggleচেক মামলায় জামিন ও আপীল: আইন ও বাস্তবতা
চেকের মামলায় ৫০% টাকা জমা ছাড়াও জামিন পাওয়া যায় বিষয়টি আমরা অনেকেই জানি না। আবার চেকের মামলায় রায়ের পর টাকা দেয়া ছাড়া কিভাবে জামিন নিতে হয় এই পদ্ধতি সম্পর্কে আমরা অবগত নই।
চেকের মামলায় রায় হলে নালিশী চেকের ৫০% টাকা জমা দেওয়া ব্যতীত জামিন ও আপীল করা যায় না বলে প্রচলিত ধারণা আছে। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনার বিরুদ্ধে ১,৫০,০০০ টাকার চেকের রায় হয়, তাহলে আপীল করার জন্য ৭৫,০০০ হাজার টাকা রায় প্রদানকারী আদালতে জমা প্রদান করতে হবে। তারপরই আপনি আপীল দায়ের করতে পারবেন এবং জামিন পাবেন। তবে আইন অনুযায়ী কি এমন কিছু বলা আছে? এক্ষেত্রে দুটি ধারার দিকে নজর দেওয়া যেতে পারে। প্রথমটি হলো The Negotiable Instruments (Amendment) Act, 1881 (amended as 2006) এর 138A ধারা। যেখানে বলা হয়েছে: “138A. যেকোনো সাজা আদেশের বিরুদ্ধে আপীল করা যাবে না, যদি না নালিশী চেকের পরিমাণের কমপক্ষে পঞ্চাশ শতাংশ টাকা আপীল দায়েরের পূর্বে সেই আদালতে জমা প্রদান করা হয় যা সাজা প্রদান করেছে।” অপরদিকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪২৬ (২ক) ধারায় বলা হয়েছে: “যখন কোনো ব্যক্তি এক বছরের বেশি না হওয়া কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয় এবং সেই সাজার বিরুদ্ধে আপীল করার অধিকার থাকে, আদালত যদি সন্তুষ্ট হয় যে দণ্ডিত ব্যক্তি আপীল করতে ইচ্ছুক, তবে আপীল দাখিলের জন্য যথেষ্ট সময় দেওয়া হবে এবং এই সময়ের মধ্যে দণ্ডিত ব্যক্তিকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হবে।”
আইনের ধারা বিশ্লেষণ
The Negotiable Instruments (Amendment) Act, 1881 (amended as 2006) এর 138A ধারায় বলা হয়েছে যে আপীল করার জন্য ৫০% টাকা জমা দেওয়া আবশ্যক, কিন্তু জামিনের ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি। অপরদিকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪২৬ (২ক) ধারায় বলা হয়েছে যে, যদি সাজাটি এক বছরের বেশী না হয় এবং আদালত যদি সন্তুষ্ট হয়, তবে আপীল দায়েরের শর্তে অন্তবর্তীকালীন জামিন প্রদান করা যাবে। দুইটি ধারা পাশাপাশি পড়লে সুষ্পষ্ট যে, ৫০% টাকা জমা দেওয়াটি আপীলের শর্ত, জামিনের না। Code of Criminal Procedure এর 426 (2A) ধারাটি সংযোজন করা হয়েছে ১৯৭৮ সালে, অপরদিকে The Negotiable Instruments (Amendment) Act এর সংশোধনী আনা হয়েছে ২০০৬ সালে। তবে ২০০৬ সালের সংশোধনীতে Code of Criminal Procedure এর 426 (2A) ধারায় যে জামিনের সুবিধা রয়েছে, তা রহিত করা হয়নি। ফলে, আইনের উদ্দেশ্যটি সুষ্পষ্ট।
বাস্তব পরিস্থিতি
হ্যাঁ, প্রচলিত চর্চা হলো ৫০% টাকা জমা না দিলে জামিন দেওয়া হয় না। কিন্তু আইনানুগভাবে ৫০% টাকা জমা না দিয়েও আপনি জামিন পাওয়ার অধিকারী। কারণ, ৫০% টাকা সংগ্রহের জন্য ব্যক্তির সময় লাগতে পারে এবং আপীল দায়েরের জন্য কেন যুক্তিসঙ্গত সময় জামিন প্রয়োজন তা আদালতে উপস্থাপন করে অন্তবর্তীকালীন জামিন পেতে পারেন। সারণী
ধারা | বর্ণনা |
---|---|
138A (Negotiable Instruments Act) | আপীলের শর্ত হিসেবে ৫০% টাকা জমা প্রদান করতে হবে। |
426 (2A) (Code of Criminal Procedure) | আপীল দায়েরের ইচ্ছা প্রকাশ করে জামিন পাওয়া যেতে পারে, যদি সাজাটি এক বছরের বেশি না হয়। |
এই বিষয়টি আদালতে সঠিকভাবে উপস্থাপন করলে জামিন পেতে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তাই, আপনার আইনজীবীর সাথে পরামর্শ করে যথাযথ প্রক্রিয়ায় এগোনো উচিত।
চেক: নিরাপদ আর্থিক লেনদেনের মাধ্যম এবং আইনি প্রতিকার
চেক হলো আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে এক নির্ভরযোগ্য ও নিরাপদ মাধ্যম। এটি ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া কিংবা ব্যক্তিগত লেনদেনের ক্ষেত্রেও জামানত হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে চেক জালিয়াতি, চেক চুরি ও চেক বাউন্সের মামলা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে।
চেক বাউন্স বা ডিজঅনার: আইনি ব্যবস্থা ও শাস্তি
চেক বাউন্স বা ডিজঅনার হলে ১৮৮১ সালের হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইনের ১৩৮ ধারা অনুযায়ী মামলা দায়ের করতে হয়। এই ধারায় দোষী সাব্যস্ত হলে সর্বোচ্চ ১ বছরের কারাদণ্ড এবং চেকের মূল অর্থের ৩ গুণ জরিমানা হতে পারে। এই মামলা জামিনযোগ্য, অ-আমলযোগ্য এবং আপোষযোগ্য।
চেক ডিজঅনারের মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া
চেক ডিজঅনারের মামলা করতে হলে, চেক ব্যাংকে জমা দেওয়ার ৬ মাসের মধ্যে ডিজঅনার হতে হবে। ব্যাংক হিসাব বন্ধ হওয়া বা এন্ডোর্সমেন্ট সঠিক না হওয়ার কারণে চেক প্রত্যাখ্যাত হলেও মামলা করা যাবে। ডিজঅনারের ৩০ দিনের মধ্যে একাউন্ট হোল্ডারের কাছে রেজিস্টার্ড ডাক যোগে এ/ডি নোটিশ পাঠাতে হবে। নোটিশ প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে অর্থ ফেরত না দিলে, পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট মেট্রোপলিটন বা জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করতে হবে। মামলার সময় মূল চেক, ডিজঅনার স্লিপ ও লিগ্যাল নোটিশ আদালতে জমা দিতে হবে।
চেক জালিয়াতি: প্রতিকার ও প্রতিরোধ
চেক হারালে দ্রুত থানায় জিডি (সাধারণ ডায়েরি) এবং ব্যাংকে লেনদেন স্থগিত করার আবেদন করতে হবে। চেক যদি কারও দখলে থাকে, তাহলে ফৌজদারি কার্যবিধির ৯৮ ধারায় ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দরখাস্ত করে তল্লাশি পরোয়ানা জারি করা যেতে পারে। কোনো ব্যক্তি ব্লাঙ্ক চেক জালিয়াতির মাধ্যমে মামলা দায়ের করলে, দণ্ডবিধি আইনে প্রতারণা এবং ৪৬৫ ধারায় জালিয়াতির মামলা দায়ের করা যায়। এমনকি, চেকের স্বাক্ষর যাচাইয়ের জন্য হস্তরেখা বিশেষজ্ঞের সাহায্যও নেওয়া যেতে পারে।
হয়রানি বা প্রতারণামূলক চেক মামলা: আইনি প্রতিকার
প্রতারণামূলক চেক মামলায় আসামীর আইনজীবী বাদী ও সাক্ষীদের দক্ষতার সঙ্গে জেরা করে সত্য উদঘাটনের চেষ্টা করে। এছাড়া, মামলাটি খারিজের জন্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৬১এ ধারায় আবেদন করা যেতে পারে।
চেক বাউন্স মামলায় সাজা হলে করণীয়
চেক ডিজঅনারের মামলায় সাজা হলে উচ্চ আদালতে আপিল করা যায়। এই ক্ষেত্রে চেকের মূল অর্থের ৫০% টাকা আদালতে জমা দিতে হয়। আদালত বিশেষ বিবেচনায় কিস্তিতে অর্থ পরিশোধেরও আদেশ দিতে পারে।
সাজা ভোগের পর অর্থ ফেরত: করণীয়
চেক ডিজঅনার মামলায় সাজা ভোগ করলেও অর্থদণ্ড বহাল থাকে। বাদী ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৮৬ ধারা অনুযায়ী অর্থ আদায়ের জন্য মামলা করতে পারে। আদালত আসামীর সম্পদ ক্রোক বা বিক্রয়ের মাধ্যমে অর্থ আদায়ের পরোয়ানা জারি করতে পারে, যা দেওয়ানি ডিক্রি হিসেবে গন্য হবে।
জামানত হিসেবে গৃহীত চেক: মামলা
ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঋণের জামানত হিসেবে গৃহীত চেক ডিজঅনার করলে অর্থ ঋণ আইনে মামলা দায়ের করা যেতে পারে। এই মামলাটি আইনগতভাবে গ্রহণযোগ্য। চেক সম্পর্কিত এই তথ্যগুলো অনুসরণ করে আপনার আর্থিক লেনদেনকে নিরাপদ এবং সুরক্ষিত রাখতে পারেন। সঠিক আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করে চেক সংক্রান্ত যেকোনো জালিয়াতি বা সমস্যার মোকাবেলা করতে পারবেন।
চেক ডিজঅনার নিয়ে উচ্চ আদালতের রায়: প্রতিদান না থাকলে সাজা নয়
প্রতিদানবিহীন চেক ডিজঅনার মামলায় সাজা হবে না—এমনটাই বলেছে উচ্চ আদালত। প্রতিদান ছাড়া চুক্তি বা হস্তান্তরযোগ্য দলিল কার্যকর নয়। কাজেই, চেক ডিজঅনার হলেও প্রতিদান প্রমাণিত না হলে আসামি খালাস পাবে। কুমিল্লার একটি মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, আসামি ঋণ শোধের জন্য চেক ইস্যু করলেও সেটি ডিজঅনার হয়। পরে, বাদী লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েও টাকা পাননি। আদালত পর্যালোচনা করে দেখে, আসামির সঙ্গে বাদীর কোনো বৈধ লেনদেন প্রমাণিত হয়নি। তাই আসামি খালাস পান এবং উচ্চ আদালত ও আপিল বিভাগ সেই রায় বহাল রাখে। আরেকটি রায়ে, আসামির বয়স বিবেচনায় নিয়ে ৩৪২ ধারা অনুযায়ী সাজা কমানো হয়েছে। এমন বহু নজির আছে যেখানে ৩৪২ ধারায় আসামি পরীক্ষা বিবৃতির ওপর ভিত্তি করে খালাস বা সাজা কমানো হয়েছে। উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, ৩৪২ ধারা আসামির উপকারের জন্য এবং সঠিকভাবে প্রয়োগ না করলে বিচার প্রক্রিয়া সুষ্ঠু হয় না। এই ধারায় আসামির বক্তব্য সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
FAQ: চেকের মামলায় জামিন (Bail in Cheque Bounce Cases)
1. চেকের মামলায় জামিন কী?
চেকের মামলায় জামিন হলো আদালত থেকে একজন অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আদালতের কার্যধারা চলাকালীন সময়ে মুক্তি দেওয়া, যা নির্দিষ্ট শর্তে প্রদান করা হয়।
2. চেকের মামলায় জামিন পাওয়ার প্রক্রিয়া কী?
জামিন পাওয়ার জন্য প্রথমে সংশ্লিষ্ট আদালতে জামিন আবেদন করতে হয়। আদালত নির্দিষ্ট শর্তসাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর করতে পারে।
3. চেকের মামলায় জামিনের জন্য কী কী শর্ত থাকতে পারে?
জামিন শর্তের মধ্যে থাকতে পারে:
- নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জামানত রাখা
- পাসপোর্ট জমা রাখা
- নির্দিষ্ট সময় অন্তর আদালতে হাজিরা দেওয়া
4. চেকের মামলায় জামিনের জন্য কোন কোন তথ্য প্রয়োজন?
জামিন আবেদন করার সময় নিম্নলিখিত তথ্য প্রদান করা প্রয়োজন:
- চেকের বিবরণ
- মামলার পরিস্থিতি
- অভিযুক্তের বর্তমান ঠিকানা এবং কর্মস্থল
- অভিযুক্তের পরিবারের বিবরণ
5. চেকের মামলায় জামিন না পেলে কী করতে হবে?
প্রথম আদালতে জামিন না পেলে উচ্চ আদালতে পুনরায় জামিন আবেদন করা যেতে পারে।
6. চেকের মামলায় জামিন বাতিল হওয়ার কারণ কী হতে পারে?
জামিন বাতিল হওয়ার কারণগুলো হতে পারে:
- আদালতের শর্ত ভঙ্গ করা
- আদালতে নির্দিষ্ট সময় হাজির না হওয়া
- পুনরায় অপরাধে জড়িত হওয়া
7. জামিন পাওয়ার পর অভিযুক্তকে কী করতে হবে?
জামিন পাওয়ার পর অভিযুক্তকে আদালতের নির্ধারিত শর্তগুলো মেনে চলতে হবে এবং মামলার পরবর্তী শুনানিগুলোতে উপস্থিত থাকতে হবে।
8. চেকের মামলায় জামিন প্রাপ্তির সম্ভাবনা কতটুকু?
প্রথমবারের চেক বাউন্স মামলায় অভিযুক্তের জামিন পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি, তবে এটি নির্ভর করে মামলার পরিস্থিতি এবং অভিযুক্তের পূর্ব ইতিহাসের উপর।
9. জামিনের শর্ত ভঙ্গ করলে কী শাস্তি হতে পারে?
জামিনের শর্ত ভঙ্গ করলে অভিযুক্তকে পুনরায় আটক করা হতে পারে এবং জামিন বাতিল হয়ে যেতে পারে।
10. চেকের মামলায় জামিনের জন্য কোন আইনজীবী প্রয়োজন?
হ্যাঁ, একজন দক্ষ আইনজীবীর সাহায্য নিয়ে জামিন আবেদন করা উচিত, কারণ আইনজীবী আদালতে অভিযুক্তের পক্ষে শক্তিশালী যুক্তি উপস্থাপন করতে পারবেন।
চেক মামলায় জামিন ও আপীল: আইন ও বাস্তবতা
প্রশ্ন: চেক মামলায় রায় হলে কি জামিন ও আপীল করার জন্য নালিশী চেকের ৫০% টাকা জমা দিতে হয়? উত্তর: প্রচলিত ধারণা হলো, চেক মামলায় রায় হলে আপীল ও জামিনের জন্য নালিশী চেকের ৫০% টাকা জমা দিতে হয়। তবে, আইনের পর্যালোচনায় দেখা যায়, আপীলের শর্ত হিসেবে ৫০% টাকা জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, কিন্তু জামিনের ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য নয়।
প্রশ্ন: The Negotiable Instruments (Amendment) Act, 1881 এর 138A ধারায় কী বলা আছে? উত্তর: এই ধারায় বলা হয়েছে, যেকোনো সাজা আদেশের বিরুদ্ধে আপীল করার জন্য নালিশী চেকের পরিমাণের কমপক্ষে ৫০% টাকা আপীল দায়েরের পূর্বে সেই আদালতে জমা দিতে হবে যা সাজা প্রদান করেছে।
প্রশ্ন: ফৌজদারি কার্যবিধির ৪২৬ (২ক) ধারায় কী বলা আছে? উত্তর: এই ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি এক বছরের বেশি না হওয়া কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয় এবং সেই সাজার বিরুদ্ধে আপীল করার অধিকার থাকে, আদালত যদি সন্তুষ্ট হয় যে দণ্ডিত ব্যক্তি আপীল করতে ইচ্ছুক, তবে আপীল দাখিলের জন্য যথেষ্ট সময় দেওয়া হবে এবং এই সময়ের মধ্যে দণ্ডিত ব্যক্তিকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হবে।
প্রশ্ন: ৫০% টাকা জমা না দিলে কি আপীল করা সম্ভব? উত্তর: না, 138A ধারায় বলা হয়েছে যে, ৫০% টাকা জমা না দিলে আপীল করা যাবে না। তবে, ৪২৬ (২ক) ধারার অধীনে আপীলের শর্তে অন্তবর্তীকালীন জামিন পাওয়া সম্ভব।
প্রশ্ন: জামিনের ক্ষেত্রে কি ৫০% টাকা জমা দেওয়া আবশ্যক? উত্তর: না, জামিনের ক্ষেত্রে ৫০% টাকা জমা দেওয়া আবশ্যক নয়। 426 (2A) ধারায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, আপীল দায়েরের ইচ্ছা প্রকাশ করে এবং আদালতের সন্তুষ্টি সাপেক্ষে জামিন পাওয়া যেতে পারে।
প্রশ্ন: আদালতে জামিনের জন্য কীভাবে আবেদন করা যেতে পারে? উত্তর: আপনার আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে আপীলের ইচ্ছা প্রকাশ করে এবং ৪২৬ (২ক) ধারা অনুযায়ী অন্তবর্তীকালীন জামিনের জন্য আবেদন করতে হবে। আদালতে আপনার আর্থিক অবস্থার সাপেক্ষে কেন ৫০% টাকা তৎক্ষণাৎ জমা দেওয়া সম্ভব নয় তা সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে হবে।
প্রশ্ন: বাস্তবে কি ৫০% টাকা জমা না দিলে জামিন পাওয়া যায়? উত্তর: বাস্তবে ৫০% টাকা জমা না দিলে সাধারণত জামিন দেওয়া হয় না। তবে, আইনানুযায়ী ৫০% টাকা জমা না দিয়েও আপনি জামিন পাওয়ার অধিকারী। আপনাকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আদালতে আবেদন করতে হবে এবং কেন ৫০% টাকা জমা দেওয়া সম্ভব নয় তা উপস্থাপন করতে হবে।