আগাম জামিন, হাইকোর্ট জামিন- সৈয়দপুর, নীলফামারী

আগাম জামিন কি?

ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থায় জামিন একটি বহুল প্রচলিত পরিভাষা। সাধারণত গ্রেফতার বা আটকের পর আদালতের নির্দেশে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়।

আপনারা আমাদের সাথে যোগাযোগ এবং পরামর্শ করতে পারেন Contact Us.

যখন কোনো ব্যক্তির গ্রেফতার হবার আশঙ্কা থাকে যে কোনো অজামিনযোগ্য মামলায়, তখন তাঁর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত কিছু বিষয় বিবেচনায় তাঁর ‘আগাম জামিন’ মঞ্জুর করেন। আদালত যে কোনো ব্যক্তির পক্ষে ‘আগাম জামিন’ মামলার তদন্ত পর্যায় থেকে শুরু করে মামলার অভিযোগপত্র দেওয়ার পরও অনুমোদন করতে পারেন। তবে আসামি একবার গ্রেপ্তার হলে তখন আর ‘আগাম জামিনের’ আবেদন করা যায় না। তখন তাঁকে নিয়মিত জামিনের জন্য দরখাস্ত করতে হয়।

 

আগাম জামিনের আবেদন কোথায় করা হয়?

আগাম জামিনের জন্য সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিকে হাইকোর্ট বা দায়রা আদালতে এসে আগাম জামিনের দরখাস্ত করতে পারেন। আগাম জামিন পেতে যিনি আগাম জামিন চাচ্ছেন তাকে আদালতে উপস্থিত থাকতে হয়।

 

একজন মক্কেলের পক্ষে ঢাকায় হাইকোর্টে অচেনা পরিবেশে এসে আগাম জামিনের জন্য তদ্বির করা কস্ট সাধ্য ব্যাপার। এজন্য জামিন প্রত্যাশীরা সাধারনত নিজ জেলার বা বিশ্বস্ত একজন আইনজীবির শরনাপন্ন হয়। সেই আইনজীবি জামিন প্রত্যাশী মক্কেলের হয়ে কাজ করেন এবং মক্কেলের হয়ে হাইকোর্টের সকল প্রকার তদ্বির গ্রহন করেন।

 

জামিন আগাম জামিন মঞ্জুর হতে কত সময় লাগে?

আগাম জামিন কতদিনের মধ্যে হয় এটি সাধারনত নির্ভর করে আপনি যার মাধ্যমে আগাম জামিনের তদ্বির করছেন। যদি আপনি একজন নিন্ম কোর্টের আইনজীবির মাধ্যমে তদ্বির করে থাকেন তবে যদি সে কোন প্রকার বিলম্ব ছাড়া আপনার কাজ দ্রুততার সাথে করে সেক্ষেত্রে সাধারনত এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে আগাম জামিন মঞ্জুর করানো যায়। যদি আপনি সঠিক আইনজীবি বাছাই করত পারেন সেক্ষেত্রে ১-২ মাস পর্যন্ত লেগে যেতে পারে। এজন্য আগাম জামিনের ক্ষেত্রে আইনজীবি নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ন ধাপ।

 

 

আগাম জামিন পেতে মোট কত টাকা খরচ করতে হয়?

আগাম জামিন পেতে একজন আইনজীবিকে কত টাকা ফিস দিতে হয়ে এটি মূলত নির্ভর করে মামলার উপর এবং আইনজীবির উপর। কেউ বিশ হাজার টাকায় জামিন করিয়ে দেয় আবার কেউ একই জামিন দুই লক্ষ টাকাও দাবি করে। এজন্য প্রয়োজন একজন উপযুক্ত এবং বিশ্বাসী আইনজীবি যে আপনার কাজটি অতন্ত দ্রুততার সাথে এবং কম বাজেটের মধ্যে আপনাকে করিয়ে দিবে।

মামলায় জামিন করাতে কেমন আনুমানিক খরচ হয়?

 

নীলফামারী কোর্টে আগাম জামিন সংক্রান্ত সাহায্য কিভাবে পাব?

সাধারনত একজন জজ কোর্টের আইনজীবির কাছে গিয়ে তার কাছে আগাম জামিন সংক্রান্ত বিষয়ে পরামর্শ করতে পারেন এবং তাকে জানাতে পারেন আপনি আগাম জামিন নিতে ইচ্ছুক। এক্ষেত্রে আপনার মামলার নথি বুঝে হাইকোর্টের একজন আইনজীবির কাছে পাঠিয়ে দিবে এবং আপনার হয়ে সকল কিছু ডিল করবে।

 

সৈয়দপুর, নীলফামারী জেলায় কার কাছে আগাম জামিনের সাহায্য পেতে পারেন?

আপনি এ্যাডভোকেট রাশেদুজ্জজামান রাশেদ এর সাহায্য নিতে পারেন। তিনি আপনাকে আগাম জামিন সংক্রান্ত সকল সহযোগিতা এবং পরামর্শ দিবেন। আপনি তাকে হায়ার করলে সে আপনার হয়ে একজন হাইকোর্টের বিজ্ঞ আইনজীবিকে হায়ার করে আপনার জামিন পেতে সাহায্য করবেন।

 

আগাম জামিনের মেয়াদকাল বা কত দিনের জন্য দেয়া হয়?

আমাদের দেশে সাধারণত জামিন মঞ্জুর কালে আগাম জামিনের মেয়াদ উল্লেখ করে দেওয়া হয় উদাহরণ হিসাবে বলা যায় ৪ বা ৬ সপ্তাহের জন্য ইত্যাদি। সুতরাং মেয়াদ শেষ হবার পূর্বে জামিনের মেয়াদ আদালত কর্তৃক বৃদ্ধি করা না হলে উক্ত মেয়াদান্তে জামিন বাতিল বলে গণ্য হবে। এছাড়া, আদালত ইচ্ছা করলে এবং যুক্তি সঙ্গত মনে করলে মঞ্জুরকৃত জামিন আদেশ বাতিল করতে পারেন।

 

আগাম জামিন কখন নেওয়া যায়?

কোন মামলায় গ্রেফতার পূর্ব সময় হাইকোর্ট বিভাগে আবেদন করে আগাম জামিন নেওয়া যায়।

 

‘আগাম জামিন’ মঞ্জুরে আদালত যা বিবেচনা করেন

‘আগাম জামিন’ মঞ্জুরের ক্ষেত্রে আদালত মূলত ্নিমোক্ত বিষয়গুলো বিবেচনায় নেন, তা হলো (১) অভিযোগের প্রকৃতি ও ভয়াবহতা; (২) আবেদনকারী পূর্বের কখনো আমলযোগ্য অপরাধে দণ্ডিত হয়েছিল কি না; (৩) জামিন পেলে অভিযুক্ত ব্যক্তি পলায়ন করবে কি না; (৪) অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে তাকে সমাজের চোখে হেয় করা হবে—এমন উদ্দেশ্য নিয়ে উক্ত মামলায় তাকে জড়িত করা হয়েছে কি না।

Share  This Article Now

Contact info:
Advocate Rashed CEO Spark Advocates
Adv. Rashedujjaman Rashed
Plot 299, Ward 2, Koya Golahat, 1st Floor Opposite Golahat Puraton Mosque, Saidpur