কাবিন নামা: কি, কত খরচ লাগে, কিভাবে কোথায় পাওয়া যায়

Table of Contents

ভূমিকা

কাবিন নামা (kabin nama) (Nikahnama) হলো বিবাহের একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি যা আইনি ও ধর্মীয় উভয় দিক থেকেই অপরিহার্য। এটি বিবাহের শর্তাবলী নির্ধারণ এবং স্বামী-স্ত্রীর অধিকার নিশ্চিত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল।

কাবিন নামা কী? (Kabin Nama)

কাবিন নামা হলো একটি লিখিত চুক্তি যা স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে বিবাহের সময় সাক্ষীদের উপস্থিতিতে সম্পন্ন হয়। এটি ইসলামী শরিয়ত এবং বাংলাদেশি আইন উভয়ের ভিত্তিতে বিবাহের আইনগত বৈধতা প্রমাণ করে।

কাবিন নামা: কি, কত খরচ লাগে, কিভাবে কোথায় পাওয়া যায়

কাবিন নামার (kabin nama) গুরুত্ব

  • আইনি সুরক্ষা: কাবিন নামা স্বামী-স্ত্রীর আইনি অধিকার নিশ্চিত করে।
  • সম্পত্তি অধিকার: স্ত্রীর মেহের বা যৌতুকের পরিমাণ এতে উল্লেখ থাকে।
  • দুর্ভোগ রোধ: বিবাহবিচ্ছেদ বা অন্য কোনো সমস্যা দেখা দিলে এটি গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হিসেবে কাজ করে।

তালাক-বিবাহবিচ্ছেদ-ডিভোর্স সংক্রান্ত সকল প্রশ্নের উত্তর

কাবিন নামার বৈধতা ও প্রয়োজনীয়তা

বাংলাদেশের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ, ১৯৬১ অনুযায়ী, কাবিন নামা রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক। রেজিস্ট্রেশন ছাড়া বিবাহ আইনত গ্রহণযোগ্য নয়।

বৈধতার শর্তাবলী:

  • উভয় পক্ষের সম্মতি।
  • স্বাক্ষীদের উপস্থিতি।
  • রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা।

কাবিন নামার (kabin nama) মূল অংশসমূহ

একটি কাবিন নামার বিভিন্ন অংশ রয়েছে যা বিবাহের আইনি ও সামাজিক দিকগুলো নিশ্চিত করে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য:

  • বর-কনের ব্যক্তিগত তথ্য: নাম, ঠিকানা, বয়স।
  • মেহেরের পরিমাণ: এটি কনের অধিকার এবং এর পরিমাণ সম্মতির ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়।
  • বিবাহের শর্তাবলী: যদি কোনো বিশেষ শর্ত থাকে তবে তা উল্লেখ থাকে।
  • সাক্ষীদের নাম ও স্বাক্ষর।
  • বিবাহ রেজিস্ট্রারের স্বাক্ষর ও সিল।

কাবিন নামা রেজিস্ট্রেশনের প্রক্রিয়া

  1. বিবাহ নিবন্ধক নির্বাচন: প্রয়োজনীয় রেজিস্ট্রেশন করতে নিকাহ রেজিস্ট্রারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
  2. তথ্য প্রদান: উভয় পক্ষের জাতীয় পরিচয়পত্র এবং দুইজন সাক্ষীর তথ্য দিন।
  3. ফি প্রদান: রেজিস্ট্রেশন ফি জমা দিন।
  4. রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন: রেজিস্ট্রেশনের পর একটি সার্টিফিকেট পাবেন যা আইনগত স্বীকৃতি বহন করে।

কাবিন নামা: কি, কত খরচ লাগে, কিভাবে কোথায় পাওয়া যায়

বিবাহ রেজিস্ট্রি খরচের বিবরণ

মুসলিম বিবাহ রেজিস্ট্রি করতে, সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফি প্রদান করতে হয়:

  • ৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত প্রতি লাখে রেজিস্ট্রি ফি: ১২৫০ টাকা
  • ৪ লক্ষ টাকার পর প্রতি লক্ষে রেজিস্ট্রি ফি: ১০০ টাকা

অতিরিক্ত খরচ

কাজি সাহেব শরা পড়ানো এবং যাতায়াত বাবদ অতিরিক্ত টাকা চাইতে পারেন। তবে, আমাদের প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত ফি গ্রহণ করে না।

উদাহরণ: ৫ লক্ষ টাকার কাবিন

যদি আপনি ৫ লক্ষ টাকার কাবিন করেন, তাহলে আপনার খরচ হবে:

  • প্রথম ৪ লক্ষ টাকার জন্য খরচ: ১২৫০ × ৪ = ৫০০০ টাকা
  • পঞ্চম লক্ষ টাকার জন্য খরচ: ১০০ টাকা

মোট খরচ: ৫১০০ টাকা

কাবিন নামা সংক্রান্ত আইনি জটিলতা

সাধারণ জটিলতা:

  • মেহের পরিশোধ না করা।
  • রেজিস্ট্রেশন না করা।
  • ভুয়া তথ্য প্রদান।

প্রতিকার:

  • আইনি মামলা: স্বামী বা স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা যেতে পারে।
  • মিডিয়েশন: উভয় পক্ষের সম্মতিতে সমস্যার সমাধান করা যায়।
  • কোর্টের রায়: সমস্যা সমাধানে আদালতের রায় প্রভাবশালী ভূমিকা পালন করে।

কোর্ট ম্যারেজ কি? বাংলাদেশে কোর্ট ম্যারেজ এর নিয়ম, খরচঃ বিস্তারিত

কাবিন নামা না থাকলে কী হবে?

কাবিন নামা না থাকলে বিবাহ আইনি বৈধতা পায় না এবং এর ফলে উভয় পক্ষই আইনগত অধিকার থেকে বঞ্চিত হতে পারে।

কাবিননামা উঠানোর নিয়ম ও প্রক্রিয়া

কাবিননামা একজন বিবাহিত ব্যক্তির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ আইনগত নথি। এটি বিবাহের শর্ত, কনের দেনমোহরের পরিমাণ এবং বিবাহের অন্যান্য শর্তাবলী উল্লেখ করে। কখনো কখনো এই নথি পুনরায় সংগ্রহের প্রয়োজন হয়, যেমন—বিচ্ছেদের (তালাক) ক্ষেত্রে, দেনমোহর দাবি করতে, বা বিবাহ সংক্রান্ত আইনি প্রক্রিয়ার সময়। বাংলাদেশে কাবিননামা উঠানোর (পুনরায় সংগ্রহের) জন্য কিছু নির্দিষ্ট ধাপ রয়েছে। নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

কাবিননামা উঠানোর নিয়ম: ধাপ-ধাপে প্রক্রিয়া

১. কাবিননামা কোথায় পাওয়া যায়?

কাবিননামা সংগ্রহ করার জন্য প্রথমে জানতে হবে এটি কোথায় রেজিস্ট্রি করা হয়েছে। সাধারণত, বিবাহ রেজিস্ট্রি করার সময় নিচের দুটি স্থানে কাবিননামার নথি সংরক্ষণ করা হয়:

  • কাজি অফিস: যেখানে বিবাহ রেজিস্ট্রি হয়েছে।
  • ইউনিয়ন পরিষদ বা সিটি কর্পোরেশন: স্থানীয় প্রশাসনেও কাবিননামার কপি জমা থাকে।

২. কাজি অফিস থেকে কাবিননামা উঠানোর নিয়ম

যদি আপনি জানেন যে আপনার বিবাহ কোন কাজি অফিসে রেজিস্ট্রি হয়েছে, তবে সেখান থেকে কাবিননামার একটি নকল বা অনুলিপি সংগ্রহ করা যেতে পারে।

প্রয়োজনীয় ধাপ:

  • অফিসে আবেদন করুন: কাজি অফিসে গিয়ে আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে।
  • প্রয়োজনীয় তথ্য দিন: আবেদনপত্রে বর-কনের নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, বিবাহের তারিখ, এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বর উল্লেখ করতে হবে।
  • কাগজপত্র দেখান: নিজের পরিচয়পত্র (NID), বিবাহের রেজিস্ট্রেশন কার্ড বা অন্য কোনো প্রাসঙ্গিক নথি প্রদর্শন করুন।
  • ফি প্রদান করুন: সাধারণত কাবিননামার নকল তোলার জন্য ২০০-৫০০ টাকা খরচ হয়।

৩. ইউনিয়ন পরিষদ বা সিটি কর্পোরেশন থেকে কাবিননামা তোলা

যদি কাজি অফিসে কাবিননামার নথি না পাওয়া যায় বা হারিয়ে যায়, তাহলে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ বা সিটি কর্পোরেশনের রেজিস্ট্রি শাখায় যোগাযোগ করতে হবে।

প্রয়োজনীয় ধাপ:

  • ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের কাছে কাবিননামার অনুলিপির জন্য আবেদন করুন।
  • জাতীয় পরিচয়পত্র ও বিবাহ সম্পর্কিত প্রমাণাদি জমা দিন।
  • নির্ধারিত ফি প্রদান করুন।

৪. আদালতের মাধ্যমে কাবিননামা উঠানো (যদি প্রয়োজন হয়)

যদি কাজি অফিস বা ইউনিয়ন পরিষদে নথি পাওয়া না যায়, তবে আদালতের মাধ্যমে কাবিননামা সংগ্রহ করা সম্ভব।

প্রক্রিয়া:

  • আইনজীবীর সাহায্য নিন: আদালতে একটি আবেদনপত্র জমা দেওয়ার জন্য একজন অভিজ্ঞ আইনজীবীর পরামর্শ নিন।
  • আদালতের নির্দেশনা: আদালত সংশ্লিষ্ট কাজি বা প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষকে নথি সরবরাহের নির্দেশনা দিতে পারে।

উদাহরণ: কাবিন খরচের হিসাব

ধরা যাক, আপনি ৫ লক্ষ টাকার কাবিন করেছেন। এই কাবিনের জন্য কত খরচ হবে, তার হিসাব নিচে দেওয়া হলো:

  • প্রথম ৪ লক্ষ টাকার জন্য রেজিস্ট্রি ফি: প্রতি লাখে খরচ = ১২৫০ টাকা। ১২৫০ × ৪ = ৫০০০ টাকা।
  • পঞ্চম লক্ষ টাকার জন্য রেজিস্ট্রি ফি: প্রতি লাখে খরচ = ১০০ টাকা। মোট খরচ = ১০০ টাকা।
  • মোট খরচ: ৫০০০ + ১০০ = ৫১০০ টাকা।

কাবিননামা তোলার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

  • জাতীয় পরিচয়পত্র (NID): আবেদনকারী ও তার সঙ্গীর।
  • বিবাহ রেজিস্ট্রেশন নম্বর: (যদি জানা থাকে)।
  • অন্যান্য প্রমাণপত্র: যেমন—বিবাহের তারিখ উল্লেখ করা কোনো নথি।
  • আবেদন ফি: সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফি।

কাবিননামা সংক্রান্ত সাধারণ প্রশ্ন ও উত্তর (FAQ)

প্রশ্ন: আমি যদি কাজি অফিস জানি না, তাহলে কীভাবে কাবিননামা পাব?

  • উত্তর: আপনার বিবাহের এলাকাভিত্তিক ইউনিয়ন পরিষদ বা সিটি কর্পোরেশনে যোগাযোগ করুন। সেখান থেকে কাবিননামার নথি সংগ্রহ করা সম্ভব।

প্রশ্ন: কাজি অফিস অতিরিক্ত ফি চাইলে কী করব?

  • উত্তর: সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফি-এর বেশি চার্জ করা বেআইনি। অতিরিক্ত ফি চাইলে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন বা আদালতে অভিযোগ করুন।

প্রশ্ন: বিবাহ বিচ্ছেদের পর কাবিননামা তোলা যাবে কি?

  • উত্তর: হ্যাঁ, কাবিননামা বিবাহ বিচ্ছেদের পরও তোলা যায়। এটি আইনি প্রক্রিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।

প্রশ্ন: যদি কাবিননামা হারিয়ে যায়, কী করতে হবে?

  • উত্তর: কাজি অফিস, ইউনিয়ন পরিষদ বা সিটি কর্পোরেশনে নকল তোলার জন্য আবেদন করুন। যদি সেখানেও না পাওয়া যায়, তাহলে আদালতের মাধ্যমে নথি পুনরুদ্ধার করুন।

কাবিননামা উঠানোর প্রক্রিয়া সহজ, তবে সঠিক জায়গায় আবেদন করতে হবে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও তথ্য প্রস্তুত থাকলে দ্রুততার সঙ্গে কাবিননামা সংগ্রহ করা সম্ভব। যদি কোনো জটিলতার সম্মুখীন হন, একজন অভিজ্ঞ আইনজীবীর সাহায্য নিন।

Kabin Nama Download (কাবিন নামা ডাউনলোড)

1. Kabin Nama PDF Download

2. Kabin Nama Scan Copy Download

কাবিন নামা সম্পর্কিত প্রায় জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী (FAQ)

সাধারণ প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন ১: কাবিন নামা কী?

কাবিন নামা হলো একটি লিখিত দলিল যা বিবাহের সময় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে চুক্তি হিসেবে তৈরি হয়। এটি ইসলামী শরিয়ত এবং আইন উভয়ের ভিত্তিতে বিবাহের বৈধতা প্রমাণ করে।

প্রশ্ন ২: কাবিন নামার গুরুত্ব কী?

কাবিন নামা বিবাহের আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করে, মেহেরের পরিমাণ নির্ধারণ করে এবং স্বামী-স্ত্রীর অধিকার নিশ্চিত করে।

প্রশ্ন ৩: কাবিন নামা কি বাধ্যতামূলক?

হ্যাঁ, বাংলাদেশে মুসলিম পারিবারিক আইন অনুযায়ী কাবিন নামা রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক।

মেহের ও শর্তাবলী সংক্রান্ত প্রশ্ন

প্রশ্ন ৪: মেহের কী?

মেহের হলো সেই নির্ধারিত অর্থ যা স্বামী বিবাহের সময় বা পরবর্তীতে স্ত্রীর জন্য প্রদান করতে বাধ্য। এটি স্ত্রীর অধিকার।

প্রশ্ন ৫: মেহেরের পরিমাণ কে নির্ধারণ করে?

মেহেরের পরিমাণ উভয় পক্ষের সম্মতিতে নির্ধারিত হয়। এটি স্থান, কাল এবং আর্থিক অবস্থার উপর নির্ভর করে।

প্রশ্ন ৬: কাবিন নামায় শর্ত যোগ করা যায় কি?

হ্যাঁ, কাবিন নামায় বিশেষ শর্ত যোগ করা যেতে পারে। তবে শর্তগুলো ইসলামী শরিয়তের পরিপন্থী হওয়া যাবে না।

রেজিস্ট্রেশন ও প্রক্রিয়া সংক্রান্ত প্রশ্ন

প্রশ্ন ৭: কাবিন নামা রেজিস্ট্রেশন কোথায় করা যায়?

কাবিন নামা রেজিস্ট্রেশন ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশনের নিকাহ রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে করা হয়।

প্রশ্ন ৮: রেজিস্ট্রেশনের জন্য কী কী ডকুমেন্ট দরকার?

জাতীয় পরিচয়পত্র, দুইজন সাক্ষীর পরিচয়পত্র এবং উভয় পক্ষের ব্যক্তিগত তথ্য দরকার।

প্রশ্ন ৯: কাবিন নামা রেজিস্ট্রেশনের খরচ কত?

রেজিস্ট্রেশনের খরচ নির্ধারিত ফি অনুযায়ী হয়ে থাকে, যা স্থানভেদে পরিবর্তিত হতে পারে।

আইনি জটিলতা ও প্রতিকার সংক্রান্ত প্রশ্ন

প্রশ্ন ১১: মেহের পরিশোধ না করলে কী হবে?

মেহের পরিশোধ না করলে স্ত্রীর আইনগতভাবে মামলা করার অধিকার রয়েছে।

প্রশ্ন ১২: কাবিন নামায় ভুয়া তথ্য প্রদান করলে কী করা উচিত?

কাবিন নামায় ভুয়া তথ্য প্রদান একটি অপরাধ। এ ক্ষেত্রে আইনি প্রতিকার চাওয়া যেতে পারে।

প্রশ্ন ১৩: কাবিন নামা হারিয়ে গেলে কী করা যায়?

কাবিন নামার একটি ডুপ্লিকেট কপি পেতে নিকাহ রেজিস্ট্রারের কাছে আবেদন করতে হবে।

কাবিন নামা না থাকলে কী হবে?

প্রশ্ন ১৪: কাবিন নামা না থাকলে বিবাহ বৈধ কি?

কাবিন নামা না থাকলে বিবাহ আইনত বৈধ নয় এবং উভয় পক্ষই আইনগত অধিকার থেকে বঞ্চিত হতে পারে।

প্রশ্ন ১৫: কাবিন নামা ছাড়া কী ধরনের সমস্যায় পড়া যায়?

কাবিন নামা ছাড়া বিবাহের আইনি স্বীকৃতি থাকে না এবং স্বামী বা স্ত্রীর অধিকার প্রতিষ্ঠা কঠিন হয়।

অন্যান্য প্রশ্ন

প্রশ্ন ১৬: কাবিন নামা শুধুমাত্র মুসলিমদের জন্য প্রযোজ্য কি?

কাবিন নামা মূলত মুসলিম বিবাহের জন্য প্রযোজ্য। অন্য ধর্মাবলম্বীদের জন্য আলাদা বিবাহ রেজিস্ট্রেশনের পদ্ধতি রয়েছে।

প্রশ্ন ১৭: কাবিন নামায় সাক্ষীদের ভূমিকা কী?

সাক্ষীরা বিবাহের বৈধতা নিশ্চিত করেন এবং প্রয়োজন হলে আদালতে সাক্ষ্য দিতে পারেন।

প্রশ্ন ১৮: বিবাহ বিচ্ছেদের সময় কাবিন নামার ভূমিকা কী?

বিবাহ বিচ্ছেদের সময় কাবিন নামা মেহের ও অন্যান্য আইনি দিক নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

উপসংহার

কাবিন নামা (kabin nama) শুধুমাত্র একটি নথি নয়; এটি বিবাহের সামাজিক ও আইনগত দিক নিশ্চিত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। সঠিক তথ্য প্রদান এবং যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে কাবিন নামা রেজিস্ট্রেশন করা প্রত্যেক বিবাহিত দম্পতির জন্য অত্যন্ত জরুরি।

পরামর্শ: যদি কাবিন নামা (kabin nama) সংক্রান্ত কোনো সমস্যা বা আইনি পরামর্শের প্রয়োজন হয়, তাহলে একজন অভিজ্ঞ আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

Share  This Article Now

Contact info:
Advocate Rashed CEO Spark Advocates
Adv. Rashedujjaman Rashed
Plot 299, Ward 2, Koya Golahat, 1st Floor Opposite Golahat Puraton Mosque, Saidpur