২০২৩ সালের বার কাউন্সিল পরীক্ষার সম্ভাব্য সময় জুন/জুলাই মাস। অর্থ্যাত আপনা্রা আর মাত্র ২/৩ মাস সময় পাবেন। এখনই উপযুক্ত সময় আপনাদের বার কাউন্সিল পরীক্ষার প্রস্তুটি নেয়ার জন্য। আপনারা প্রস্তুতি নিচ্ছেন তো?
শিক্ষানবীস আইনজীবি থেকে যারা নিজের নামের শুরুতে আইনজীবী/অ্যাডভোকেট ট্যাগ লাগাতে চান তাদের জন্য স্পার্ক ল’ একাডেমির বিকল্প নেই। আপনারা যারা নীলফামারী কোর্টে শিক্ষানবীস হিসেবে প্রাকটিস করছেন তাদের জন্য একটি দূর্ভাগ্যজনক বড় বিষয় হল নীলফামারীতে বার কাউন্সিল প্রস্তুতির জন্য কোন কোচিং সেন্টার বা প্রাইভেট ক্লাশ নেই। যার জন্য নীলফামারী কোর্টের শিক্ষানবীস আইনজীবীগন অনেক সমস্যার সম্মুক্ষীন হতে হন। কোচিং সেন্টারের অভাবে অনেকেই অনলাইনে কোচিং/ক্লাশ করেন যা খুব একটা তাদের জন্য সুখকর অভিজ্ঞতা বয়ে আনে না। আবার অনেকেই ঢাকায় যায় কোচিং করার জন্য যা অনেক ব্যয়বহুল। সঠিক গাইডলাইনের অভাবে বার কাউন্সিল পরীক্ষায় অনেকেই খারাপ ফলাফল করেন।
আপনারা জেনে খুশি হবেন যে স্পার্ক ল’ একাডেমি আপনাদের এই গ্যাপ এই অভাব পূরন করার উদ্যোগ নিয়েছে। স্পার্ক ল’ একাডেমি অতন্ত আনন্দের সাথে জানাতে চায় যে নীলফামারী জেলার শিক্ষানবীস আইনজীবীগনের বার কাউন্সিল পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য কোচিং সেন্টার শুরু করতে যাচ্ছে।
শিক্ষানবীস আইনজীবী জীবন কতটা হতাশার এবং অমর্যাদার তা একমাত্র শিক্ষানবীস আইনজীবিরাই ভাল করে জানেন। এই হতাশাজনক ও অমর্যাদাকর জীবন থেকে বের হয়ে আসার অন্য আমাদের প্রয়োজন বার কাউন্সিল এর সনদ। বাংলাদেশ বার কাউন্সিল পরীক্ষা অনেকটা অনিয়মিত। একবার ফেল করলে আবার পরীক্ষার জন্য অনেকদিন যাবত অপেক্ষা করতে হয় এবং দীর্ঘদিনের জন্য হতাশায় নিম্মজিত হতে হয়। এজন্য বার কাউন্সিল পরীক্ষায় ঢিলামি দেওয়া কোন বুদ্ধিমান মানুষের কাজ নয় ।
বার কাউন্সিল প্রিলি পরীক্ষায় প্রচুর পড়াশোনা করেও আপনি ফেল করতে পারেন যদি আপনার বুঝার ক্ষমতা না থাকে কোনটি কতটুকু গুরুত্ব দিয়ে পড়ব। দেখা গেল আপনারা সমানে পড়ে গেলেন এবং পরীক্ষা হলে যখন বসলেন তখন প্রশ্নের অপশন দেখে সবগুলোকে উত্তর মনে হয়। পড়ুয়া ছাত্রদের সাথে, বা না বুঝে পড়া ছাত্রদের সাথে বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই এমন হয়। এজন্য বুঝতে হয় কোনটির গুরুত্ব কতটুকু। কোন একটা টপিক বা ধারা কতটুকু গুরুত্বপূর্ন এবং সেটির ওপর আপনার কতটুকু সময় ব্যয় করা দরকার এটি জানা প্রয়োজন।
আপনারা যারা শুধু প্রিলি পাস করার টার্গেট নিয়ে পড়াশোনা করেন তারা হয়ত কোনভাবে প্রিলি পাস করে ফেলেন কিন্তু রিটেন পরীক্ষায় গিয়ে ৯০% এমন স্টুডেন্ট ফেল করে বসে। স্পার্ক ল’ একাডেমি আপনাদের প্রিলির প্রস্তুতি এমন ভাবে নেওয়াবে যাতে একই সাথে রিটেনের ৭০-৮০% পড়া কম্পিলিড হয়ে যায়। প্রিলি পাস করার পর ৭০% স্টুডেন্ট এর আর রিটেন পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য এনার্জি থাকে না বা পড়ার টেবিলে বসতে মন চায় না। এজন্যই আগে থেকে রিটেন এর প্রস্তুটি সহ নিতে হয়।
প্রত্যেকটা জিনিস ভালভাবে সম্পূর্ন করতে প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনা এবং পরীকল্পনা অনুযায়ী কাজ করা। আমাদের বার কাউন্সিল পরীক্ষায় পাস করার জন্যও প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনা এবং পরিকল্পনা মাফিক পড়াশোনা করা। সঠিক পরীকল্পার জন্য প্রয়োজন পূর্ববর্তী বার কাউন্সিল এবং জুডিশিয়ারী প্রশ্নের উপর পর্যাপ্ত পরিমানে রিচার্স।
আপনারা যারা পড়তে ইচ্ছুক তারা দেরী না করে স্পার্ক ল’ একাডেমির প্রথম ব্যাচে ভর্তি হতে পারেন।
স্পার্ক ল’ একাডেমির কোচিং সেন্টার কিছু বৈশিষ্ট আপনাদের সামনে তুলে ধরছি।
- প্রয়োজনীয় সংখ্যক হান্ডনোট এবং লেকচার সেট দেওয়া হবে।
- বিস্তারিত ব্যাখা এবং বেয়ার অ্যাক্ট ভিত্তিক উদাহারন সহ লেকচার শীট।
- বেয়ার আক্ট ভিত্তিক পড়াশোনা হবে।
- প্রতি ক্লাশ শেষে শর্ট মডেল টেস্ট নেয়া হবে।
- বাংলার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ইংরেজী শদ্বের উপর গুরুত্বদান।
- ৭টি বিষয়ের ৫০০০+ এম.সি.কিউ এর উপর ৫০টি পূর্ণাঙ্গ মডেল টেস্ট।
- বেয়ার আক্টের উদাহারন ভিত্তিক মডেল টেস্ট।
- মাসিক ভিত্তিতে পড়ানো হবে।
- প্রত্যকটা স্টুডেন্ট কে গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে, যারা দূর্বল তাদের জন্য স্পেশাল কেয়ার রাখা হবে।
৫০ পেলেই পাশ এমন চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে হবে। আমাদের নূন্যতম টার্গেট হবে ৭০-৮০ মার্কস।
প্রশ্ন কমন না আসলেও আপনি উত্তর পারবেন সেভাবেই আপনাদের আমি তৈরী করব। যখন আপনি বইয়ের ৭০-৮০% কভার করবেন তখন প্রশ্ন কমন আসুক আর না আসুক আপনাকে দৃত্র কন্ঠে বলতে চাই আপনি সেটির উত্তর পারবেন। অর্থ্যাত কমন না পড়া প্রশ্নের উত্তর গুলি আপনি দিতে পারবেন।
আমার কথা হল আমরা সবাই পাশ করবো যদি আপনারা স্পার্ক ল’ একাডেমির সাথে থাকেন স্পার্ক ল’ একাডেমির দিকনির্দেশনা মানার চেস্টা করেন।